রামায়ণে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা কে? এই খেলায় বাঙালির সাফল্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

রামায়ণে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা কে? এই খেলায় বাঙালির সাফল্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও
রামায়ণে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা কে? এই খেলায় বাঙালির সাফল্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
রামায়ণে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা হলেন রাবণের স্ত্রী মন্দোদরী।

বাংলায় দাবা খেলার ঐতিহ্য

বিশ্ববিখ্যাত দাবাড়ু John Cochrane-এর উদ্যোগে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ‘Calcutta Chess Club’ গড়ে ওঠে। এটিই হল ভারতের প্রাচীনতম দাবা ক্লাব। পরাধীন ভারতে ‘ক্যালকাটা চেস ক্লাব’ প্রখ্যাত বাঙালি দাবাড়ু মহেশচন্দ্র ব্যানার্জীকে আমন্ত্রণ জানায়। তবে দাবাকে রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার স্বার্থে; ১৯৫৯-এ ‘অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশন’ স্বীকৃত ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল চেস অ্যাসোসিয়েশন’ গড়ে ওঠে।

দাবায় বাঙালির অবদান ও সাফল্য

বাংলায় প্রথম রাজ্য দাবা প্রতিযোগিতা শুরু হয় ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে। বাংলার দাবা প্রতিভা বিশ্বখ্যাত। পরবর্তীতে বাঙালি নবীনদের মধ্যে দাবা খেলার সুনামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন দিব্যেন্দু বড়ুয়া ও সূর্যশেখর গাঙ্গুলি। ১৯৯১-তে রাজ্য থেকে প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন দিব্যেন্দু বড়ুয়া। এ ছাড়া তিনি তিনবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন। বাংলার আর-এক প্রতিভাধর দাবাড়ু হলেন সূর্যশেখর গাঙ্গুলি। মাত্র উনিশ বছরে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। পরে ২০০৩-২০০৮ পর্যন্ত টানা ছ-বার তিনি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও বিজয়ী হন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিভাবান দাবাড়ু সন্দীপন চন্দ্র গ্র্যান্ডমাস্টার হন। বহু দাবা অলিম্পিয়াডে তিনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব । করেছেন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও বিজয়ী হয়েছেন। রাজ্যের অন্যান্য দাবাড়ু হলেন- নীলোৎপল দাস, অতনু লাহিড়ি, সায়ন্ত দাস, সহেলি ধর প্রমুখ।

Leave a Comment