সমাস বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। সমাসবদ্ধ পদের গঠনবৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমাসের ভাগগুলি উদাহরণসহ উল্লেখ করো।

সমাস বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। সমাসবদ্ধ পদের গঠনবৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমাসের ভাগগুলি উদাহরণসহ উল্লেখ করো
সমাস বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। সমাসবদ্ধ পদের গঠনবৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমাসের ভাগগুলি উদাহরণসহ উল্লেখ করো।
পদের যে গঠনপ্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক পদ একত্রে বসে একটি বড়ো পদের জন্ম দেয় সেই গঠনপ্রক্রিয়ার নাম হল সমাস। সমাসের ফলে যে পদ তৈরি হয় সেই পদের নাম সমস্তপদ বা মিলিত পদ। যেমন: ‘ভাবনা’ ও ‘চিন্তা’ পদ দুটি একত্রে মুক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে ‘ভাবনাচিন্তা’-এই সমস্তপদটি। এভাবে যে ‘ভাবনাচিন্তা’ সমস্তপদটি গড়ে উঠল, এর গঠনপ্রক্রিয়াটিকেই বলা হয় সমাস।

পদগঠনের চরিত্রের ভিন্নতা অনুযায়ী সমাসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়-(১) দ্বন্দ্ব সমাস, (২) ব্যাখানমূলক সমাস ও (৩) বর্ণনামূলক সমাস।

[১] দ্বন্দু সমাস: যে সমাসে একাধিক পদ শুধু পাশাপাশি জুড়ে যায়, কিন্তু পদগুলির নিজস্ব অর্থের কোনোরকম পরিবর্তন ঘটে না তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। এই সমাসে কখনও সমার্থক পদ পাশাপাশি বসে ভিন্ন বস্তু বা ব্যক্তির সমন্বয় না-বুঝিয়ে একই বস্তু বা ব্যক্তির সমন্বয় বোঝায়। যেমন: দিন-রাত, কাগজপত্র ইত্যাদি।

[২] ব্যাখ্যানমূলক সমাস: যে সমাসে দুটি পদ যখন পাশাপাশি বসে, তখন সাধারণত প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদটিকে ব্যাখ্যা করে দেয়। যেমন: গায়ে-হলুদ, মিশ-কালো ইত্যাদি।

[৩] বর্ণনামূলক সমাস:
সমাসে পদগুলি পরস্পর যুক্ত হয়ে যে সমস্তপদটির জন্ম দেয়, সেই পদটির অর্থ মধ্যস্থ কোনো পদকে নয়, বরং বাইরের কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করে। এই সমাসের আর-এক নাম বহুব্রীহি সমাস। যেমন: নীল অম্বর যার নীলাম্বর (বলরাম), পীত অম্বর যার= পীতাম্বর (শ্রীকৃষ্ণ)।

Leave a Comment